মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

ভালবাসার গোলাপ,গোলাপের ভালবাসা

সোনালী বিকেল, নিস্তব্ধ চারিদিক
আজ গোধুলীর পূর্বেই নির্জনতার হিরিক।
আমি একলা বসে আছি;উদাস হয়ে বসে থাকা যাকে বলে,
আমি সেই  উদাসী মনের অন্তারালে চির উদাস।
এমন সময় শুনিলাম এক নিঃশব্দ কন্ঠস্বর,"হে কবি! এমন করে দুরে দুরে কেন বসে আছো  ;
কবিরা সৌন্দর্যের পূজারী;আসো একটু কাছো আসো;
বিরহ-যাতনার গল্প করি ;"
রক্তিম আভায় প্রস্ফুটিত গোলাপটি বলিয়া উঠিল।
আমি নীরব রহিলাম।
"কেন তোমার মুখখানি আজ এমন ছন্নছাড়া;
একলা বসে ভাবিতেছো কি ডায়েরী কলম ছাড়া?
কেন আজ এলোমেলো তোমার কৃষ্ণ বাবরি চুল;
বললে না কথা একটি বারও আমি অপেক্ষায় আকূল;
কোথায় আজ আলতো পরশ, আমায় বিলিয়া দেওয়া,
কোথায় সেই প্রণয়ী বুলি হাওয়ায় উৎসর্গ করা? "
বলিলম,"প্রসন্ন সূর্যোদয়ে হবে আমার বিদায় ;
মিথ্যে এই ভালবাসা দীর্ঘ করিতে নাহি চাই"
দ্বিতীয়বার না তাকিয়ে ফিরে এলাম নিজ শয়ন কক্ষে।
ইতোমধ্যে চিনচিন ব্যথা শুরু হলো এই বক্ষে।
পরদিন প্রভাতে দেখি একি হায়!
অবুঝ সেই পূষ্পখানি এই ধরাতে নাই।
হালকা ধুলোয় পড়ে আছে তার পাপড়িগুলো;
আর একটি পত্রফলকে লেখা ছিল,"ভালবাসা ছাড়া বাচে না জীব,বাচিতে চাইনা আমি"
মস্তিষ্কের ভ্রমে ইহা আমি স্পষ্ট দেখিতে পেলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নির্বিকার

ভোরের সুর্যের ফিকফিকে হাসি রোদ হয়ে আসে,আমার গায়ে লাগে দুর্বাঘাসের স্বচ্ছ মুক্তো রাশি রাশি উড়ে যায় আকাশে রোদের উত্তাপে শালিকেরা সব ছুটে...