শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বাল্যকালের নৌকা-ভ্রমন

মৃদু মৃদু ঢেউ, সো সো বাতাস;
সুর্য পরেছে হেলে, লালচে হয়েছে আকাশ।
এসব সৌন্দর্য কর্ম ব্যস্তদের দেখার সুযোগ হয় না,জীবনের প্রয়োজনএ তারা ব্যস্ত থাকে, অসম্ভব ব্যস্ত।
তবে সৌখিনদের কেবল এসব নজরে পরে,
আকাশটা কি রকম, প্রকৃতিকে সবুজ লাগছে কি না?
কার প্রেমে পড়েছে বসন্তের কুকিল?সুর্যটা কার দিকে চেয়ে হাসছে?চাদটা স্নিগ্ধ কিনা এসব নিয়ে তাদেরকে আগ্রহ থাকে, প্রবল আগ্রহ ।
এসব বিবেচনা আমাকে সৌখিন ধরে নিতে পারেন। 
এমন গোধুলী বিকেল হাত ছাড়া করা যায় ?
কি করা যায় এমন বিকেলে ?
কাকার নৌকা ছিল,তাকে বলে, নৌকা ভাসিয়ে দিলাম জলে,
পর্যাবৃত্ত ছন্দে বৈঠা পানিকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে লাগল আমাদের তরী,
শহরের ছেলেরা কবু এ আনন্দ পাবে? আমাদেরকে ছাড়ি।
ঠিক বিলের মাঝখানে গেলাম পালতোলা নৌকা দেখলাম,
বাতাসের অনুকূলে চলছে বিরতিহীন। 
যেন কনো সুনিপুন চিত্রশিল্পীর আকা ছবি।
তবে সেটা জল রঙ্গে নয়,তেল রঙ্গে নয়, প্রকৃতির রঙ্গে আকা ছবি ।
তরী হতে হৃদয়ের উপচে পরা আগ্রহে সুর্‍যটাকে দেখলাম অবর্ননীয় সৌন্দর্য,সত্যিই রোমাঞ্চকর। 
আজও সেটা মনে করে আনন্দ পাই,
 ইচ্ছে আবারো যোগ দেয় তরুণদের দলে, তরীটাকে ভাসিয়ে দেয় পাগলী নদীর জলে।
তবে আজ আর সম্ভব নয় ;
কারন জীবনের তরীই আজ গন্তব্যের শেষ প্রান্তে।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নির্বিকার

ভোরের সুর্যের ফিকফিকে হাসি রোদ হয়ে আসে,আমার গায়ে লাগে দুর্বাঘাসের স্বচ্ছ মুক্তো রাশি রাশি উড়ে যায় আকাশে রোদের উত্তাপে শালিকেরা সব ছুটে...