রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বৈচিত্র্যময় বৃষ্টি

গগন জুড়েছে কালো মেঘে,বৃষ্টির হলো সৃষ্টি,
কারো কাছে লাগছিল তিক্ত,কারো কাছে আবার মিষ্টি,
আমার ভালো লাগছিল না, তবে লাগছিল না বেশি মন্দ,
বৃষ্টির জলে ভিজিল মোর দেহ, ভিজিল স্কন্ধ,
ছাতাহীন ছিলাম আমি মধ্যবৃত্তের ছেলে,
আছে মোর দেহে এটেল,আছে দোআশ-বেলে।
দুঃখ কষ্ট সবই মোর সহ্য করতে হয়,
কখনো জীবন পূষ্পসয্যা কখনো কন্টকময়।

একই বৃষ্টি ষোড়শী প্রিয়সীর কাছে লাগছিল খুব সুন্দর,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, মৃদু মৃদু হাওয়া
যেন বহুকালের বহুদিনের অপ্রত্যাশিত পাওয়া।
দুতলার উপর থেকে জানালা খোলে হাতটা বাড়িয়ে দিল বৃষ্টির দিকে,
অতৃপ্ত লাগছিল তার রূপালী বৃষ্টি দেখে,
মন চাইছিল তার "বন্দি জীবন থেকে বেরিয়ে, সবজাভ মাঠটা পেরিয়ে,
যদি বৃষ্টিতে ভেজা যেত যেন সর্গ্বসূখ পেত।

সেদিনের বৃষ্টিই তরুর কষ্ট করিল সৃষ্টি,
তরু নিতান্তই গরিব,ঘরে তার ভাঙ্গা টিনের ছানি,একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পরে পানি।
সেই কষ্টে তরু ভাগ্যের করে উপহাস,
মেঝেতো আর মেঝে নয় যেন পদ্মা মেঘনা তিতাস।
ঘরের মধ্যদিয়ে পানি বহে,এ যাতনা কি প্রাণে সহে?
অর্থের অভাবে, স্বল্পতার প্রভাবে
ভাঙ্গা চালাটি আজও পাল্টানো হয় নি সম্ভব,মরিচায় ভেঙ্গে ঝুরঝুর চতুর্পাশে বেড়া সব।
যে বৃষ্টি ডেকে আনে কষ্ট, ডেকে আনে ভোগান্তি,
হৃদয়ে আনে জীবন অভিযানের শ্রান্তি,
তা কিভাবে হয় রোমাঞ্চকর,কিভাবে তা মধুময়,বরং তা যেন সবচেয়ে বেশি নির্মম, পাষন্ড,নির্দয়।
তাই বৃষ্টি তার কাছে হয়ে উঠতে পারিনি আপন
যেমন ভাবে আপন হয়নি তার প্রতিবেশিগন।
ফেইসবুকে পড়তে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নির্বিকার

ভোরের সুর্যের ফিকফিকে হাসি রোদ হয়ে আসে,আমার গায়ে লাগে দুর্বাঘাসের স্বচ্ছ মুক্তো রাশি রাশি উড়ে যায় আকাশে রোদের উত্তাপে শালিকেরা সব ছুটে...