রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

প্রেম-মাতাল-কবি

নিশার তিমিরে ছেয়ে যাচ্ছে আকাশ,
বাতাসে গভীর রাতের গন্ধ,
চির ঘুমে আচ্ছন্ন রুপালী চাদ,
ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে দুলে পড়ে তারকাগুলি যেন।
মাতাল এই দুনিয়া, মাতাল এই নিশাচারী।
এই অক্ষির বিপরীতে দিব্যচক্ষু হয় সক্রিয়;
নয়নের সামনে ভাসছে প্রিয়সীর ছবি;
যে ছবি দেখে মাতাল হয়েছি শতবার,বারবার হয়েছি কবি।
এক এক করে কেটে গেলে চারটি বছর,
আজও অনুভূত হয় সেই রূপ,সেই সুভাস।
স্মৃতিকাতরতা নিয়ে বেঁচে আছে আজও দেহখানি,
হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে হাজার দিবস আগেই।
এক আধারের পর অন্য আধার নামে,
রাতের পর মধ্যরাত,মৃদু থেকে হয় গভীর,
মাতালতা বাড়ে ততই প্রখর।
অশ্রুতে ভিজে উপাধানখানি,
তবুও বাহুডোরে জড়িয়ে বলি
"ছেড়ে যেয়েও না কখনো!"
উপাধান নিরব, নির্জীব মুখ ফুটে না।
ক্ষণ পর বলি "ভালবাসি তোকে জীবনের চেয়েও বেশি, কেন দুরে চলে যাবি বল?
কোনো আওয়াজ নেই,
আমি শুনতে পাই অশ্রু বেয়ে চলার শব্দ:ছলছল।
সবাই ঘুমোই,নক্ষত্রখচিত বিশাল আকাশের নিচে যা আছে সব;
দুরের গুরে ভয়ঙ্কর সুরে শেয়ালগুলো ডাকছে ;
হয়তো ছিড়ে-ফেড়ে খাচ্ছে কোনো লাশ।
মনোহারী অট্টালিকা, আরাম শয্যা;আর নেই মনমাতানো বিলাস,
ফ্লোরের শীতলতা আমার গাঁ স্পর্শ করে,
আর একটি ছটফট অনুভবে আধারের মৃত্যু হয় ;
কোনো খেকশিয়াল কি নেই?
এই হৃদয়টাকে টেনেছিড়ে খেয়ে যা,
সহ্য করতে পারছি না এত যন্ত্রণা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নির্বিকার

ভোরের সুর্যের ফিকফিকে হাসি রোদ হয়ে আসে,আমার গায়ে লাগে দুর্বাঘাসের স্বচ্ছ মুক্তো রাশি রাশি উড়ে যায় আকাশে রোদের উত্তাপে শালিকেরা সব ছুটে...