বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

বহুনামী আমি

আস সালামু আ'লাইকুম,
সুপ্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছো? আশা করি ভাল। আমিও ভাল
আছি। তোমাদের মত এত কিউট ফ্রেন্ড থাকতে কি কেউ
খারাপ থাকতে পারে?
ওহ, নো! বলতে বলতে বন্ধু বলে ফেলছি অথচ আমার
পরিচয়টাই দেই নাই।কথাবার্তা শুনেই তো বুঝতে পারছো
আমি একটা অগুছালো মানুষ। আশা করি এতটুকুই পরিচয়ের
জন্য যথেষ্ট।তারপরেও কি আমার পরিচয় বলতেই হবে?না
বলবে হবে না? দোস্! আজকের মত মাফ করে দেওয়া
যাই না? নাহ! তোমাদের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে পরিচয়
নিয়ে আমার এত ইততস্ত কেন?তাহলে শুনো পরিচয়টা
বলেই ফেলি।
বাবা মার দেওয়া নাম তারেকুল ইসলাম। তাই শৈশব কাল থেকে
এই নামেই পরিচিত।নাম সংক্ষিপ্ত করার একটি রেওয়াজ
প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। তাই তারেকুল
ইসলাম সংক্ষিপ্ত হয়ে "তরু" হয়ে গেছে।
অবশ্য এই নাম দেওয়ার একটা ভাল কারনও আছে। আর তা
হলো তরু হওয়ার ইচ্ছা। তরুর দিকে তাকিয়ে দেখ, কি
বিনয়ী, নিরহংকার, কি উদার! নিজের বুক চিরে অপরেরে
করে সেবাদান।এমন বান্ধব পৃথিবীতে দ্বিতীয় কাউকে
পাবে? মাঝে মাঝে নিজেকে তরুর মাঝে খুজে পাই।
যেন স্তব্ধ দাড়িয়ে আছি। চারিদিকে তৃণলতার বেয়ে চলা।
আমার উদাত্ত আহবান, আসো আমার বুকে আসো।
বেয়ে উঠো, আমার বুকে। এভাবে ভাবতে ভাবতে
আবারও নিস্তব্ধতা ফিরে আসে।
শুধু তরুই নয়। আমার অনেক নাম। যাদের অনেক নাম তারা
অনেক গুনের অধিকারী হতে পারে।কেউ আমাকে
কোনো নাম দিলে আমি তা বর্জন করি না। সাদরে গ্রহণ
করি। বন্ধুরা মিলে কয়েকটা নাম দিয়েছিল।তার মধ্যে একটা
হলো কাকেশ্বরী।তবে এ নামের পরিবৃত্ত আজও
উদঘাটন হয় নি। অবশ্য অনেক অন্বেষনে জানতে পারলাম
কাকেশ্বরী একটি নদীর নাম।পুর্বে নদীটি অনেকটা
খরস্রোতা ছিল।যেন যৌবন উদ্দিপ্ত কোনো ঝরণাধারা।
হয়তো তারা নদীর সাথে আমার কোনো মিল খুজে
পেয়েছিল অথবা অন্য কোনো কারন।তাদের দেওয়া
আরেকটি নামও ছিল "স্বার্থক"। তবে বিধাতা এই নামটাকে
পছন্দ করেছেন কিনা জানি না। কারন আমার স্বার্থকতা
কোথায় তা আজও আমি খুজে বের করতে পারিনি।ছোট
বেলায় অনেক মেধাবী ছিলাম।রুপকথার মত বলতে পারি,
বহুদিন আগে আমি মেধাবী ছিলাম। তখন পাড়ার সকল
বয়োজৈষ্ঠ্যরা আমায় খুব আদর করতো।মাথায় হাত বুলিয়ে
বলত বেচে থাক, বাবা।বড় হয়ে কিছু একটা হবি। কিন্তু আজও
পর্যন্ত আমি নিজেকে আশির্বাদ পুষ্ট কিছু একটার মধ্যে
খুজে পেলাম না।যখন খুজে পাব তার কিছুদিন পরেই আমি
চিরবিদায়ী অসীমকালের যাত্রি।মানুষের চোখে যখন
আমি সফল প্রকৃতির চোখে আমি তখন নিস্পন্দ বিন্দু।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নির্বিকার

ভোরের সুর্যের ফিকফিকে হাসি রোদ হয়ে আসে,আমার গায়ে লাগে দুর্বাঘাসের স্বচ্ছ মুক্তো রাশি রাশি উড়ে যায় আকাশে রোদের উত্তাপে শালিকেরা সব ছুটে...